শিশুদের জন্য ডিম ও ময়দার লাড্ডু - Laddu Recipe
ডিম ও ময়দার মজাদার লাড্ডু তৈরির রেসিপি: বাচ্চাদের টিফিনের আদর্শ নাস্তা
ডিম ও ময়দার মিশ্রণে তৈরি লাড্ডু একটি মুখরোচক, পুষ্টিকর ও চটপটে নাস্তা যা বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে সকালের নাস্তা কিংবা টিফিনের জন্য এটি দারুণ একটি অপশন। এটি খুব সহজেই তৈরি করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদানগুলোও থাকতে পারে, যা শিশুর শরীরের শক্তি যোগায়। আজকে আমরা শিখবো কীভাবে মজাদার ডিম ও ময়দার লাড্ডু তৈরি করা যায়।
ডিম ও ময়দার লাড্ডু তৈরির উপকরণ
এই লাড্ডু তৈরি করতে লাগবে:
- ডিম – ২টি
- ময়দা – ১ কাপ
- চিনি – ৩/৪ কাপ
- ঘি – ২ টেবিল চামচ
- মাখন – ১ টেবিল চামচ
- এলাচ গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ
- কিশমিশ – ১০-১৫টি (ঐচ্ছিক)
- বেকিং পাউডার – ১/২ চা চামচ
- তেল (ফ্রাই করার জন্য) – পরিমাণ মতো
- গরম পানি (কর্নফ্লাওয়ার বানানোর জন্য) – ১/২ কাপ
ডিম ও ময়দার লাড্ডু তৈরির প্রণালী

১. ডিম প্রস্তুত করুন
প্রথমে ডিম দুটি ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। একটা বাটিতে ডিমের সাদা অংশ এবং আথল অংশ আলাদা করে ফেটিয়ে নিন। ডিমগুলো যত ভালোভাবে ফেটানো হবে, লাড্ডু তত ফুচকা ও সোজা হবে।
২. ময়দার মিশ্রণ তৈরি করুন
এবার একটা পাত্রে ময়দা, এলাচ গুঁড়ো, বেকিং পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
৩. ডিম মিশিয়ে ডো তৈরি করুন
ফেটানো ডিম এবং ১ টেবিল চামচ মাখন দিন ময়দায়। তারপর এটি ভালোভাবে মিশিয়ে এক ধরনের মাখা মাখা ডো তৈরি করে নিন। এর মধ্যে কিশমিশও যোগ করতে পারেন (ঐচ্ছিক)।
৪. তেলে লাড্ডু তৈরি করুন
অল্প তেলে একটি প্যানে তাপ বাড়িয়ে নিন। তেল গরম হলে, ডো থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে তেলে যোগ করুন। প্রতিটি বল সোনালি বাদামী রঙ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো ভাজুন।
৫. গোলাপি লাড্ডু প্রস্তুত করুন
ফ্রাই করা হয়ে গেলে, বলগুলো তেল থেকে উঠিয়ে নিন এবং চিনি এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে সেরা মিষ্টি স্বাদ পাবেন।
৬. গরম গরম পরিবেশন করুন
এখন, আপনার মজাদার ডিম ও ময়দার লাড্ডু প্রস্তুত। এটি গরম গরম পরিবেশন করলে ভীষণ সুস্বাদু লাগবে।
ডিম ও ময়দার লাড্ডুর উপকারিতা
ডিমের মধ্যে প্রোটিন ও ভিটামিন যুক্ত যে উপাদানগুলো থাকে তা শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। এই লাড্ডু তৈরিতে যে ময়দা ব্যবহৃত হয়, তা জড়তা দূর করতে সহায়ক এবং দ্রুত শক্তি প্রদান করে।
- পুষ্টির উৎস: ডিম, ময়দা, কিশমিশ ইত্যাদি উপকরণগুলো বাচ্চাদের শরীরের জন্য একেবারে আদর্শ।
- শক্তির উৎস: এই লাড্ডুতে থাকা প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি দেহকে শক্তি যোগায় এবং বাচ্চাদের পূর্ণ শক্তি প্রদান করে।
টিপস
- খাবার টেম্পারেচার: লাড্ডু অবশ্যই তাজা ও গরম গরম পরিবেশন করতে হবে, যেন এর আসল স্বাদ বজায় থাকে।
- এমন উপকরণ ব্যবহার করুন যা বাচ্চাদের পছন্দ: মাঝে মাঝে বাচ্চাদের পছন্দসই উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন, যেমন চকোলেট চিপস, দুধের ক্রিম ইত্যাদি।
অন্যান্য টিফিন রেসিপি
আমাদের লাড্ডু যদি বাচ্চাদের টিফিনে দেওয়া না হয়, তবে অনেক দারুণ আরও টিফিন রেসিপি রয়েছে যা আমাদের শিশুদের জন্য দ্রুত, স্বাস্থ্যকর এবং রুচিশীল। আপনি সহজেই আলু, চিজ, চিকেন ব্যবহার করে তৈরী করতে পারেন অনেক মজাদার রেসিপি। এসব সবার মধ্যে জনপ্রিয় রেসিপি।
আপনার লাড্ডু তৈরি করুন, সুস্বাদু খাবার বানিয়ে উপভোগ করুন!
এটি একটি সহজ এবং সুস্বাদু রেসিপি যা দ্রুত সময়ে তৈরি করা সম্ভব। ছোটবড় সবাই এর মজা নিতে পারে, বিশেষত ছোট্ট বাচ্চাদের জন্য এটি একটি আদর্শ টিফিন।
এখনি চেষ্টা করুন ডিম ও ময়দার লাড্ডু রেসিপি এবং আপনার পরিবারের মাঝে লেগে যাবে এক নতুন প্রিয় রেসিপি!
FAQ: ডিম ও ময়দার লাড্ডু সম্পর্কিত
1. ডিম ও ময়দার লাড্ডু কি সহজে তৈরি করা যায়?
হ্যাঁ, ডিম ও ময়দার লাড্ডু তৈরি করা খুবই সহজ। এর জন্য আপনাকে কিছু সাধারণ উপকরণ এবং কিছু সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। ২০-৩০ মিনিটের মধ্যেই আপনি মজাদার লাড্ডু তৈরি করতে পারবেন।
2. আমি কি এই লাড্ডু ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি এটি ফ্রিজে রেখে ২-৩ দিন সংরক্ষণ করতে পারবেন। তবে, গরম করে পরিবেশন করা বেশি সুস্বাদু হয়।
3. ডিম ও ময়দার লাড্ডুতে কিশমিশ দিতে হবে কিনা?
কিশমিশ দেওয়া ঐচ্ছিক। আপনি চাইলে কিশমিশ বাদ দিয়ে শুধু ডিম, ময়দা এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে লাড্ডু তৈরি করতে পারেন। কিশমিশ দেয়ার কারণে লাড্ডু আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে, তবে তা স্বাদ অনুযায়ী।
4. বাচ্চাদের জন্য এ লাড্ডুর উপকারিতা কি?
ডিমে প্রোটিন এবং ভিটামিন থাকে, যা শিশুর শারীরিক বিকাশে সহায়ক। ময়দা ও চিনির মাধ্যমে শিশুর দ্রুত শক্তির চাহিদা পূরণ হয়, ফলে এটি বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর।
5. আমি যদি গ্লুটেন-মুক্ত ময়দা ব্যবহার করতে চাই, কীভাবে করব?
আপনি গ্লুটেন-মুক্ত ময়দা (যেমন চিড়া বা বেসনের ময়দা) ব্যবহার করতে পারেন। তবে, গ্লুটেন-মুক্ত ময়দায় লাড্ডুর টেক্সচার বা স্বাদ কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
6. লাড্ডুর ভিতরে কি অতিরিক্ত মিষ্টি যোগ করা যাবে?
আপনি চাইলে লাড্ডুর ভিতরে আরও চিনি বা অন্যান্য মিষ্টি উপকরণ যেমন গুড় বা মধু যোগ করতে পারেন। তবে, এর মাধ্যমে স্বাদ আরও মিষ্টি হয়ে যাবে, তাই পরিমাণে বাউন্স করতে হবে।
7. এই লাড্ডু কি তৈরি করার পর তেল শোষণ করে খুব বেশি?
না, এই লাড্ডু তেল বেশি শোষণ করে না যদি আপনি সঠিক তাপে তেলে ভাজেন। তেল গরম হলে লাড্ডু তেলের মধ্যে দেবেন, যাতে তেল কম শোষণ করে।
8. আমি যদি শাকসবজি বা ফল যোগ করতে চাই, তাহলে কি করতে পারি?
আপনি চাইলে লাড্ডুতে আদা, গাজর, অথবা ফলের টুকরোও যোগ করতে পারেন, যা লাড্ডুকে আরও পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু করে তুলবে।