ডিমের লাড্ডু - Laddu Recipes
ডিমের লাড্ডু: সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মিষ্টি
বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডিম শুধু রান্না বা ভাজি করেই খাওয়া হয় না, বরং মিষ্টি তৈরি করার ক্ষেত্রেও ডিমের ব্যবহার বেশ প্রচলিত। ডিমের লাড্ডু এমনই একটি বিশেষ মিষ্টান্ন, যা স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিকর। যারা ভিন্নধর্মী মিষ্টি পছন্দ করেন, তাদের জন্য ডিমের লাড্ডু হতে পারে একটি চমৎকার বিকল্প।
ডিমের লাড্ডুর উপকারিতা
ডিমের লাড্ডুতে ডিম ব্যবহারের ফলে এটি উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি মিষ্টি। যারা প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে চান এবং একইসাথে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ডিমের লাড্ডু আদর্শ। এছাড়াও এতে থাকে দুধ এবং শুকনো ফল, যা মিষ্টির পুষ্টিমান আরও বৃদ্ধি করে। একসাথে মিষ্টি ও পুষ্টি পাওয়ার এমন এক কম্বিনেশন খুব কম মিষ্টিতে পাওয়া যায়।
উপকরণ
ডিমের লাড্ডু বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সাধারণত আমাদের রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। চলুন দেখে নিই কী কী লাগবে:
- ডিম: ৪টি
- চিনি: ১ কাপ
- ঘি: ২ টেবিল চামচ
- নারকেল কোরা: ১ কাপ
- এলাচ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- কাজু, কিশমিশ: সাজানোর জন্য
- দুধ: ১ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী
১. ডিম ফেটানো:
প্রথমে ৪টি ডিম ভালোভাবে ফেটে নিন। ডিমের সাদা এবং কুসুম একসাথে ফেটিয়ে একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন।
২. চিনি এবং দুধ মেশানো:
একটি পাত্রে দুধ এবং চিনি একসাথে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন। চিনি ভালোভাবে গলে গেলে এতে ডিমের মিশ্রণ দিয়ে নেড়ে নিন।
৩. ঘি এবং নারকেল মেশানো:
একটি প্যানে ঘি গরম করে এতে নারকেল কোরা দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর ডিম এবং দুধের মিশ্রণটি এই প্যানে ঢেলে দিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন।
৪. এলাচ এবং সাজানো:
মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে তাতে এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। তারপর এটি ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে হাতে করে ছোট ছোট লাড্ডু তৈরি করুন। প্রতিটি লাড্ডুর উপর কাজু এবং কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে নিন।
ডিমের লাড্ডু ঠাণ্ডা হলে এটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। এই মিষ্টি চা বা কফির সাথে খুবই চমৎকার লাগে। আপনি চাইলে এটি অতিথি আপ্যায়নের জন্যও পরিবেশন করতে পারেন। বিশেষ করে উৎসবের সময় ডিমের লাড্ডু একটি ব্যতিক্রমী এবং আকর্ষণীয় মিষ্টি হিসেবে সকলের মন জয় করবে।
ডিমের লাড্ডু একটি সহজ এবং সুস্বাদু মিষ্টি, যা ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায়। যারা নিয়মিত মিষ্টি তৈরি করতে ভালোবাসেন, তাদের অবশ্যই এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখা উচিত।
